মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে দেশটির কূটনীতিকদের বিদ্রোহ আরও প্রশস্ত হচ্ছে। সেনা সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়ার পর দেশটির জাতিসংঘ দূতকে বহিষ্কার করে নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনিও পদত্যাগ করেছেন। ফলে আগেরজনই ওই দায়িত্বে বহাল থাকছেন। এদিকে গত বুধবার ৩৮ বিক্ষোভকারীকে হত্যার পর এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ওয়াশিংটনের মিয়ানমার দূতাবাস। রয়টার্স।
১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে ব্যাপক গণবিক্ষোভ এবং নাগরিক অসহযোগ আন্দোলন চলছে। বিক্ষোভকারীরা সেনাশাসনের অবসান এবং দেশটির নির্বাচিত নেতাদের মুক্তির দাবি করছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটির অভ্যুত্থান এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস নিপীড়নের নিন্দা জানালেও তা উপেক্ষা করছে সেনা সরকার। এসব কিছুর নেতিবাচক পরিস্থিতি বিবেচনার পর নিজেদের প্ল্যাটফর্মে ব্যবস্থা নিয়েছে ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট ইউটিউব। দেশটির সেনাবাহিনী পরিচালিত ৫টি চ্যানেল সরিয়ে দিয়েছে তারা।
বিষয়টি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার ইউটিউব জানিয়েছে, কমিউনিটি গাইডলাইনের আওতায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
চ্যানেলগুলো হলো- স্টেট নেটওয়ার্ক, এমআরটিভি (মিয়ানমার রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন), সেনাবাহিনী পরিচালিত মায়াবতী মিডিয়া, এমডব্লিউডি ভ্যারাইটি এবং এমডব্লিউডি মিয়ানমার।
এ বিষয়ে ইউটিউবের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের কমিউনিটি গাইডলাইন এবং প্রযোজ্য আইন অনুযায়ী বেশকিছু চ্যানেল বন্ধ এবং অনেকগুলো ভিডিও সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’
এদিকে, ‘ব্যবস্থাপনায় বিপর্যয় ঘটার’ অজুহাত দেখিয়ে শুক্রবার থেকে মিয়ানমারের সর্বত্র বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।